করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়সসীমা কমল

ষাটোর্ধ নাগরিক, চিকিৎসকসহ সম্মুখ সারিতে কাজ করেন এমন নানা পেশার মানুষজনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে সরকারের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সরকারের পাঁচজন মন্ত্রীসহ কুড়ি জনের মতো ব্যক্তি আজ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।প্রথম বুস্টার ডোজটি পেয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা।এবছরের জানুয়ারি মাসের শেষে বাংলাদেশে যখন প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়, তখন মিজ কস্তাই প্রথম ডোজটি পেয়েছিলেন।করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ৫০ বছর বয়স হলেই বুস্টার নেওয়া যাবে। এত দিন সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দিয়ে আসছিল সরকার। যদিও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে এ বয়স প্রযোজ্য নয়।

করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়সসীমা কমল

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত সোমবারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়সসীমা ৫০ বছরে নিয়ে আসার জন্য। এ ছাড়া বলা হয়েছে, সম্মুখসারির যোদ্ধাদের তাড়াতাড়ি বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে এটি সুরক্ষা অ্যাপে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিবন্ধনের জন্য।করোনার নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ মানার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতে বলা হয়েছে, তা দেখে কাল-পরশুর মধ্যে কিছু একটা করার চেষ্টা করা হবে।সতর্ক না থাকলে সামনে একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর এক মাসে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ হয়েছিল। আর এখন ১৫ দিনেই প্রায় ১৮ শতাংশ হয়েছে। তাই সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং মাস্ক না পরলে কোনোভাবেই এটি ঠেকানো সম্ভব হবে না।মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ফোর্স করে বাস্তবায়ন করা যাবে না এগুলো মানুষকেও বুঝতে হবে । এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

সরকার গত মাস থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়মিত দেওয়া শুরু করে নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে। তখন ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন,এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেবার সময় যে টিকা কার্ড দেয়া হয়েছে আপাতত বুস্টার ডোজেও সেই কার্ডটিই কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও আগের মতোই মোবাইল ফোনে এসএমএস বার্তার মাধ্যমে টিকার দিন জানানো হবে।সুরক্ষায় সংযুক্তি না হওয়া পর্যন্ত টিকা সনদপত্র পাওয়া যাবে না।